About Us Contact Us Privacy Policy Terms & Conditions Copyright

বাংলাদেশে রাম্বুটানের চাষ পদ্ধতি। রাম্বুটানের জাত, বংশবিস্তার ও সার ব্যবস্থাপনা

Please don't forget to share this article

রাম্বুটান একটি বিদেশি ফল যার ইংরেজি নাম রাম্বুটান। ফরাসি ভাষায় লিচি চিভাল, স্প্যানিশে রাম্বুতাও, থাইল্যান্ডে নু ফন্সুয়ান। বাংলা কোনো নাম নেই। রাম্বুতান আকর্ষণীয়, অত্যন্ত সুস্বাদু ও রসালো ফল। সাদা, স্বচ্ছ, অম্লীয় মিষ্টি গন্ধযুক্ত শাঁস এ ফলের ভক্ষণীয় অংশ। গায়ে লাল ও নরম কাঁটা থাকার কারণে এদের লিচু থেকে কিছুটা ব্যতিক্রম দেখায়। অনেক স্থানে রাম্বুতানকে চুলওয়ালা লিচুও বলা হয়। ফলটির আদি নিবাস পশ্চিম মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা। তবে ফলটি এখন থাইল্যান্ডে প্রচুর ফলছে। চাষ করা হচ্ছে জাভা, বোর্নিও, কম্বোডিয়া, ফিলিপিন, মিয়ানমার, ভিয়েতনামেও। বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলাসমূহ (যেখানে শীতের প্রকপ তুলনামূলকভাবে কম) রাম্বুতান চাষের জন্য অধিক উপযোগী। তবে গাজীপুর, ভালুকা, ময়মনসিংহ, রাঙ্গামাটিতে কয়েকটি গাছে বেশ ভালোই ফল দিচ্ছে।

রাম্বুটান গাছ, ফুল ও ফলের পরিচয় :

রাম্বুটানের গাছ মাঝারি আকারের বৃক্ষপ্রকৃতির। গাছ প্রায় ১০-২৫ মিটার লম্বা হয়। এটি বেশ ঝোপালো স্বভাবের। গাছের উচ্চতার প্রায় তিন ভাগের দুই ভাগ হলো পত্রপল্লবের বিস্তার বা ক্যানোপি। একটি বোঁটায় দু- চারটি পাতা থাকে এবং ডালে পাতাগুলো বিপরীতমুখীভাবে সাজানো থাকে। পাতার কক্ষ থেকে ফুলের মঞ্জরী বের হয়। ডালের আগা বা পার্শ্বীয়ভাবে পুষ্পমঞ্জরী বের হয়। ফুল খুবই ছোট, ফুলের রঙ সবুজাভ, একটি ছড়ায় ৬০০ থেকে দুই হাজার ফুল ফোটে। কিন্তু থোকায় ফল অত ধরে না।

সাধারণত বসন্তের পরপরই শুষ্ক দিনে রাম্বুটানের ফুল আসে এবং গ্রীষ্ম-বর্ষায় ফল পাকে। ফুল ফোটার পর ফল পাকতে প্রায় ৯০ থেকে ১২০ দিন লাগে। চারা লাগানোর তিন বছর পর থেকেই ফল ধরতে শুরু করে এবং ২০ বছর পর্যন্ত ভালো ফলন পাওয়া যায়।

ফল লিচুর মতোই থোকায় ধরে। ফল ডিম্বাকার থেকে গোলাকার। কাঁচাফলের রঙ সবুজ, পাকলে লাল হয়ে যায়। খোসা লম্বা খাটো সোজা বাঁকা ইত্যাদি নানা আকৃতির কাঁটাযুক্ত। তবে কাঁটাগুলো শক্ত নয়। খোসা ছাড়ালেই ভেতরে লিচুর মতো সাদা শাঁস পাওয়া যায়। শাঁসের স্বাদ মিষ্টি টক, রসালো। ভেতরে লিচুর মতো একটি বীজ থাকে, বীজ শক্ত, লম্বাটে, ডিম্বাকার ও বাদামি রঙের। ফলের মোট ওজনের ৩০ থেকে ৫৮ শতাংশ থাকে শাঁস, ৪ থেকে ৯ শতাংশ বীজ। প্রতিটি ফলের ওজন ৩০-৬০ গ্রাম। ফল ধরে গ্রীষ্মকালে।

রাম্বুটানের জাতঃ

বারি রাম্বুটান-১

এটি নিয়মিত ফলদানকারী উচ্চ ফলনশীল জাত। গাছ বড় ও অত্যধিক ঝোপালো। ফাল্গুন-চৈত্র মাসে গাছে ফুল আসে, চৈত্র-বৈশাখ মাসে ফল ধরে। শ্রাবণ মাসে ফল আহরণ উপযোগী হয়, ফল ডিম্বাকৃতির, আকারে বড় (৫০ গ্রাম)। পাকা ফলের রং আকর্ষণীয় লালচে খয়েরি। ফলের গায়ের কাঁটা (স্পাইনলেট) বেশ লম্বা ও নরম। শাঁস পুরুত্ব,  মাংসল, সাদা, নরম, রসালো সুগন্ধযুক্ত এবং মিষ্টি (ব্রিক্সমান ১৯%)। বীজ ছোট ও নরম, খাদ্যেপযোগী অংশ ৫৮%। বাংলাদেশের সর্বত্র চাষযোগ্য যার হেক্টরপ্রতি ফলন ১০-১২ টন।

রাম্বুটানের সবচেয়ে বেশি জাত দেখা যায় মালয়েশিয়ায়। সে দেশে রাম্বুটানের ১৫টি জাত রয়েছে। বিভিন্ন দেশে রাম্বুটানের অনেক জনপ্রিয় জাত রয়েছে। তবে বিশ্বে বাণিজ্যিকভাবে চাষের জন্য ফিলিপাইনের সিবাবাত, সিঙ্গাপুরের লি, মালয়েশিয়ার পি১, পি৪, পি৫, পি৬, পি৮, পি২২, পি২৮, পি৫৪, পি৬৩ এবং ইন্দোনেশিয়ার মেরাহ ও কোয়েনেং জাতগুলো উল্লেখযোগ্য।

ফলের পুষ্টিমান :

রাম্বুটান ‘শর্করা’ ও ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ একটি ফল। আহার উপযোগী প্রতি ১০০ গ্রাম ফলে (জলীয় অংশ ৮২.১%, প্রোটিন ০.৯%, ফ্যাট ০.১%, ০.০৩% আঁশ, ০.০৫% ম্যালিক এসিড, ০.৩১% সাইট্রিক এসিড), ২.৮ গ্রাম গুকোজ, ৩.০ গ্রাম ফ্রুকটোজ, ৯.৯ গ্রাম সুক্রোজ, ২.৮ গ্রাম ফাইবার, ৭০ মিলি গ্রাম ভিটামিন সি, ১৫ মিলি গ্রাম ক্যালসিয়াম, ০.১-২.৫ মিলি গ্রাম লৌহ, ১৪০ মিলি গ্রাম পটাসিয়াম, ও ১০ মিলি গ্রাম ম্যাগনেশিয়াম পাওয়া যায়।

উপযুক্ত আবহাওয়া :

এশীয় দেশগুলোতে ২২ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রার মধ্যে রাম্বুটান জন্মে। কিন্তু অব-উষ্ম ও কিছুটা ঠাণ্ডা অঞ্চলে ১২ থেকে ১৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের মধ্যে ভালো হয়। যেসব এলাকায় বেশি বৃষ্টিপাত হয় সেখানে রাম্বুটান ভালো হয়। তা না হলে বেশি সেচ দিতে হবে। বিশেষ করে ফুল আসার সময় থেকে ফল সংগ্রহের আগ পর্যন্ত সেচ চালিয়ে যেতে হবে। তাপমাত্রা ও বাতাসের জলীয় বাষ্প বা আর্দ্রতা হঠাৎ কমে গেলে অনেক সময় রাম্বুটান গাছের ডগা শুকিয়ে আসে এবং পাতার কিনারা হলদে হতে শুরু করে।

চাষ উপযোগী মাটি :

উঁচু, যেখানে বৃষ্টির পানি জমে থাকে না এরূপ সুনিষ্কাশিত বেলে দো-আঁশ মাটি রাম্বুটান চাষের জন্য ভালো। তবে এঁটেল-দো-আঁশ মাটিতেও চাষ চলে। তবে মাটিতে বেশি জৈবপদার্থ থাকলে বা দিলে রাম্বুটানের গাছ ভালো বাড়ে ও ফল বেশি ধরে। মাটির অম্লমান বা পিএইচ মান ৪.৫ থেকে ৬.৫-এর মধ্যে হওয়া ভালো।

বংশ বিস্তার:

অঙ্গজ উপায়ে অথবা বীজের মাধ্যমে রাম্বুতানের বংশ বিস্তার হয়ে থাকলেও মাতৃ গুণাগুণ বজায় রাখার জন্য অঙ্গজ উপায়ে বংশ বিস্তার উত্তম। কুঁড়ি সংযোজন, বায়বীয় দাবা কলম ও সংযুক্ত দাবাকলম পদ্ধতিতে রাম্বুতানের বংশ বিস্তার করা হয়। ১-২ বৎসর বয়সী শাখা থেকে সুপ্ত কুঁড়ি সংগ্রহ করে ৮-১২ মাস বয়সের রুটস্টক সংযোজন করলে ভালো ফল পাওয়া যায়। এছাড়া জোড়কলম পদ্ধতিতে রাম্বুতানের বংশ বিস্তার করা হয়।

চারা তৈরি :

জোড়কলম করে রাম্বুটানের চারা তৈরি করা হয়। বীজ থেকে গজানো এক বছর বয়সী চারার মাথা কেটে, সেখানে ফাটল করে ফল ধরা কোনো রাম্বুটান গাছের ডগা তেরছা করে কেটে গোজের মতো ঢুকিয়ে ফিতে দিয়ে বেঁধে দেয়া হয়। এ পদ্ধতিকে বলে ক্লেফট গ্রাফটিং। তেজি কোনো ভিত্তি চারার ওপর ফোরকাট বা চোখকলম করেও রাম্বুটানের কলম করা হয়। লিচুর মতো বায়ব দাবা কলম করেও প্রতিষ্ঠিত কোনো ফলবান গাছের ডাল থেকে রাম্বুটানের চারা তৈরি করা যায়। তবে এ ক্ষেত্রে সফলতা কম পাওয়া যায়। চোখকলম করেও সুঠাম আকৃতির ভালো গাছ পাওয়া যায়। বসন্তকাল আসার ঠিক আগে চোখকলম করার উপযুক্ত সময়।

জমি তৈরি:

রাম্বুতানের জন্য সুনিষ্কাশিত উঁচু ও মাঝারী উঁচু ঊর্বর জমি নির্বাচন করতে হবে। পর্যায়ক্রমিক কয়েকটি চাষ ও মই দিয়ে জমি সমান করে নিতে হবে। মাদা তৈরির পূর্বে জমি থেকে বহুবর্ষজীবী আগাছা বিশেষ করে উলুঘাস সমূলে অপসারণ করতে হবে।

রোপণের সময়:

মধ্য-সেপ্টেম্বর থেকে মধ্য-অক্টোবর চারা কলম রোপণের উপযুক্ত সময়। প্রচণ্ড শীতের সময় ছাড়া বছরের যেকোনো সময় রাম্বুটানের চারা লাগানো যায়। তবে বর্ষার আগে লাগানো উত্তম।

মাদা তৈরি:

উভয় দিকে ৮-১০ মিটার দূরত্বে ১ x ১ x ১ মিটার আকারের গর্ত করে  উন্মুক্ত অবস্থায় রাখতে হবে। কলম রোপণের ১০-১৫ দিন পূর্বে প্রতি গর্তে ২৫-৩০ কেজি পচা গোবর, ৫০০ গ্রাম টিএসপি, ৩০০ গ্রাম এমওপি, ২০০ গ্রাম জিপসাম ও ৫০ গ্রাম জিংক সালফেট সার গর্তের মাটির সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে গর্ত ভরাট করে রেখে দিতে হবে। মাটিতে রসের অভাব থাকলে পানি সেচ দিতে হবে।

চারা রোপণ:

গর্ত ভর্তির ১০-১৫ দিন পর নির্বাচিত চারাটি সোজাভাবে গর্তের মাঝখানে লাগিয়ে চারার চারদিকের মাটি হাত দিয়ে চেপে ভালোভাবে বসিয়ে দিতে হবে এবং খুঁটি দিয়ে বেঁধে দিতে হবে যাতে বাতাসে চারার গোড়া নড়ে না যায়। রোপণের পরপরই পানি সেচ দিতে হবে। এরপর নিয়মিত পানি সেচ ও প্রয়োজনে বেড়ার ব্যবস্থা করতে হবে।

চারা রোপণের হারঃ

বাণিজ্যিক বাগান করলে হেক্টর প্রতি ৮০ থেকে ১২০টি চারা লাগানো যায়।

সার প্রয়োগ:

বয়স বাড়ার সাথে সাথে গাছের যথাযথ বৃদ্ধি ও কাক্সিক্ষত ফলনের জন্য সার প্রয়োগ করা আবশ্যক। বিভিন্ন বয়সের গাছের জন্য প্রয়োজনীয় সারের পরিমাণ নিম্নরূপঃ

গাছের বয়স

প্রতি গাছে সারের পরিমাণ

গোবর সার(কেজি) ইউরিয়া(গ্রাম) টিএসপি(গ্রাম) এমওপি(গ্রাম)
১-২ বছর ১০-১৫ ২০০ ২৫০ ১৫০
২-৪ বছর ১৫-২০ ৩০০ ৪৫০ ৩০০
৫-৭ বছর ২০-২৫ ৪৫০ ৭৫০ ৪৫০
৮-১০ বছর ২৫-৩০ ৭৫০ ১২০০ ৬০০
১০-১৫ বছর ৩০-৪০ ১২০০ ১৫০০ ৭৫০
১৫ বছরের ঊর্ধেব ৪০-৫০ ১৫০০ ২০০০ ১০০০

উল্লিখিত সার ৩ কিস্তিতে প্রয়োগ করতে হবে। ১ম কিস্তি ফল আহরনের পর (ভাদ্র মাসে ), ২য় কিস্তি শীতের শুরুতে ( কার্তিক মাসে ) এবং শেষ কিস্তি গাছে ফল আসার পর ( বৈশাখ- জ্যৈষ্ঠ মাসে ) প্রয়োগ করতে হবে। প্রয়োজনে সার প্রয়োগের পর সেচ দিতে হবে।

আগাছা দমন:

গাছের স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য জমিকে আগাছামুক্ত রাখা প্রয়োজন। বর্ষার শুরুতে ও বর্ষার শেষে কোদাল দ্বারা কুপিয়ে বা চাষ দিয়ে আগাছা দমনের ব্যবস্থা করতে হবে।

পানি সেচ  ও নিষ্কাশন:

রাম্বুতান গাছ খরা সংবেদনশীল। চারার বৃদ্ধির জন্য শুকনো মৌসুমে ১০-১৫ দিন পরপর সেচ দিতে হবে। ফলন্ত গাছের বেলায় সম্পূর্ণ ফুল ফোটা পর্যায়ে একবার, ফল মটর দানার মতো হলে একবার এবং এর ১৫ দিন পর আরও একবার মোট তিনবার সেচের ব্যবস্থা করতে হবে। সার প্রয়োগের পর সেচ দেওয়া ভালো। বর্ষার সময় যাতে গাছের গোড়ায় পানি না জমে থাকে তার জন্য নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে। এ ছাড়া ফুল আসার ৬-৮ সপ্তাহ আগে সামান্য পানির কষ্ট/পীড়ন দিলে আগাম ও অধিক ফুল ফুটতে দেখা যায়।

ডাল ও মুকুল ছাঁটাইকরণ:

রাম্বুতান গাছকে সধারণত লম্বা ও খাড়াভাবে বাড়তে দেখা যায়। তাই প্রথম দিকেই গাছের সঠিকভাবে প্রুনিং করা জরুরি। ফল সংগ্রহের পরপর ফলের মুকুলগুলো গোড়া থেকে কেটে দিতে হবে তাতে গাছের নতুন কুঁড়িগুলো দ্রুত বৃদ্ধি পাবে। মৃত, রোগাক্রান্ত এবং লকলকে ডালপালাগুলো নিয়মিত অপসারণ করতে হবে। কলমের চারার ক্ষেত্রে গাছের স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য প্রথম ৩-৪ বছর পর্যন্ত মুকুল আসলে তা কেটে দিতে হবে।

ফল সংগ্রহ :

সাধারণত ফল ও স্পাইনলেটের রং লালচে বর্ণ ধারণ করলে ফল সংগ্রহ করতে হবে। অপরিপক্ক ফলে মিষ্টতা ও অন্যান্য গুণাবলী পরিপক্ক ফলের তুলনায় অনেক কম থাকে। ভালো বাজার মূল্য পাওয়ার জন্য ফল লালচে খয়েরী বর্ণ ধারণ করার ১০-১২ দিনের মধ্যে সংগ্রহ করা ভালো। গাছে ফল অতিরিক্ত পাকিয়ে সংগ্রহ করলে এরিল শুকিয়ে শক্ত হয় এবং ফলের সুগন্ধ ও স্বাদ কমে যায়। রাম্বুটান নন ক্লাইমেক্টারিক ফল হওয়ায় সংগ্রহোত্তর ইথিলিন উৎপাদন ও শোষণের হার খুব বেশি থাকে। এই কারণে ফল খুব দ্রুত আর্দ্রতা হারায় এবং নষ্ট হতে থাকে।

ফলনঃ

জাত অনুযায়ী তিন বছরের একটা গাছে ১৫ থেকে ২০ কেজি ফল পাওয়া যায়, নয় বছরের একটা গাছে ৫৫ থেকে ২০০ কেজি ফল পাওয়া যায়, ২০ বছরের একটা গাছে ৩০০ থেকে ৪০০ কেজি ফল পাওয়া যায়। ফল পাকলে লালচে রঙ চলে আসে। তখন একটা একটা করে বা গোটা থোকাসহ ফল তোলা যায়।

 

How useful was this post?

Click on a star to rate it!

As you found this post useful...

Follow us on social media!

We are sorry that this post was not useful for you!

Let us improve this post!

Please don't forget to share this article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি। সকল স্বত্ব www.agriculturelearning.com কর্তৃক সংরক্ষিত