Agriculturelearning

টবে ( ছাদ বাগানের ) বা বারান্দায় আলু চাষের নতুন পদ্ধতি

Please don't forget to share this article

টবে আলুঃ আলু চাষের জন্য টব বা প্লাস্টিক অথবা কাঠের কনটেইনারও ব্যবহার করা যায়। মাঝারি সাইজের একটি টব বেছে নিন। প্লাস্টিকের বালতিতেও করতে পারেন।

স্থান নির্ধারণঃ বাসার বারান্দায় এমন একটি স্থান বেছে নিন যেখানে প্রচুর আলো বাতাস পায়। অন্তত সকাল বেলাটা রোদ পড়ে এমন জায়গা আলু চাষের জন্য উপযোগী। খেয়াল রাখবেন সকাল-বিকাল বাদে শুধু দুপুরে রোদ পড়ে এমন জায়গায় আলু চাষ করবেন না।

মাটি প্রস্তুতঃ দোআঁশ ও বেলে-দোআঁশ মাটি আলুর জন্য সব চাইতে উপযোগী৷ আলু চাষের জন্য মাটিতে প্রচুর জৈব সার থাকতে হয়। এক ভাগ মাটি ও এক ভাগ জৈব সার নিয়ে ভালোভাবে ঝুরা করে মিশিয়ে নিন। মাটি খুব শুকনো হলে একটু পানি দিয়ে ভিজিয়ে মেশান।

বীজ প্রস্তুতঃ আলুর বীজ দুইভাবে সংগ্রহ করা যেতে পারে। বীজ থেকে এবং আলুর কাটিং থেকে। বীজের চারা সরাসরি নার্সারি থেকে সংগ্রহ করা যেতে পারে আর কাটিং চারা পেতে পারেন বিগত বছরের আলু থেকে। পুরনো আলু থেকে ছোট ছোট অঙ্কুর বের হয়। সেই অঙ্কুর গুলোকে আলু সমেত ১-২ ইঞ্চি কিউব করে কেটে অঙ্কুরটি ঊর্ধ্ব মুখী করে একটি ডিমের কেসে রাখতে হবে। । অঙ্কুর গুলোকে ছায়াযুক্ত স্থানে রাখতে হবে।

বীজ রোপণঃ টব বা কনটেইনারের দুই তৃতীয়াংশ পরিমাণ মাটি-সারের মিশ্রণ নিন। উপরের অংশ সমতল করুন। এবার গাছ হওয়া আলু বা অঙ্কুর রোপণ করুন। অঙ্কুরের সাথে অবশ্যই যথেষ্ট পরিমাণ আলু থাকতে হবে। এবার ৫ বা ৭ ইঞ্চি পরপর বীজ লাগিয়ে দিন। এরপর বীজের উপর ৪-৫ ইঞ্চি করে মাটি মিশ্রণ দিয়ে ঢেকে দিন।

যত্নঃ যথেষ্ট জৈব সার দেয়া থাকলে আলুতে আর আলাদা করে সার দেয়ার দরকার হয় না। তবে নিয়মিত পরিমিত পানি আলু চাষের জন্য খুব জরুরি। সকাল ও বিকেল পানি দিলেই চলে। তবে খেয়াল রাখতে হবে পানি যেন বেশি  না হয়। অর্থাৎ অতিরিক্ত পানি যেন টবে জমে না থাকে। বিশেষ করে প্লাস্টিকে কন্টেইনার ব্যবহার করলে অতিরিক্ত পানি বের করে দেয়া জন্য আগেই কন্টেইনারটিতে কয়েকটি ছোট ছিদ্র করে নিতে পারেন।

ফসল তোলাঃ আলু পরিপক্ক হতে সাধারণত ৭০ থেকে ৯০ দিন সময় লাগে। গাছে ফুল আসার পর ফল আসবে। এরপর সবুজ গাছ হলুদ বর্ণ ধারণ করলে বুঝবেন আলু সংগ্রহের সময় হয়েছে। অনেকে কন্টেইনারের একটি দরজা রাখেন, এতে করে পরিপক্ক আলুগুলো ফসল তোলার আগেই সংগ্রহ করা যায়।

সংরক্ষণঃ

কিছু তথ্যঃ আলু ফসলের গাছের মাঝের ফাঁকা জায়গায় সাথী ফসল হিসেবে লাল শাক, পালং শাক, ধনে ও মুলা শাকের চাষ করা যায়। এতে প্রধান ফসল আলুর কোনো ক্ষতি হয় না। বীজ বপনের এক মাস পর লাল শাক, পালং শাক, মুলা ও ধনে শাক তুলতে হবে।

সবশেষেঃ এটা টবে চাষের পদ্ধতি, তাই পোকা-মাকড় সংক্রমণ, বা চিকিৎসা ইত্যাদি এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। যেহেতু আপনি আপনার বাসার ছাদে বা বারান্দায় করবেন, তাই জৈব বালাইনাশক ব্যবহার করাই উত্তম।

How useful was this post?

Click on a star to rate it!

As you found this post useful...

Follow us on social media!

We are sorry that this post was not useful for you!

Let us improve this post!

Please don't forget to share this article