Agriculturelearning

টার্কির সংক্রামক রোগ-ব্যাধি এবং তার চিকিৎসা পদ্ধতি

Please don't forget to share this article

তৃতীয় খণ্ড

টার্কির ফাউল পক্স একটি উচ্চ মাত্রার সংক্রামক রোগ যা পক্স ভাইরাসের সংক্রমণে হয়ে থাকে। সাধারণত টার্কির শরীরের পালকবিহীন জায়গায় সাধারণত শক্ত গোটা উঠে এবং চোখ দিয়ে পানি পড়ে।

পক্স সচরাচর দুই রকমের হয়:- শুকনা পক্স এবং ভিজা পক্স।

সংক্রমণের কারণ এবং স্থানান্থরঃ  

লক্ষণঃ

প্রতিরোধঃ  

চিকিৎসাঃ  

ফাউল পক্স ভ্যাকসিন (F P V) এই ভ্যাকসিন টার্কির ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হয়। এটি ২০০ মাত্রায় কঠিন অবস্থায় বায়ুশুন্য বোতলে সংরক্ষিত থাকে। এটার রং গোলাপি, ১০ মিলি: বিশুদ্ধ পানিতে পুরাটা মিশিয়ে এই ভ্যাকসিন তৈরি করতে হয়। তৈরির পরে কবুতর ও মুরগি যাদের বয়স ২৮-৩২ দিন সেগুলো কে পাখনার নিচে, যেখানে কোন পালক নেই, সেখানে ৪-৫ টি খোটা দিয়ে এই ভ্যাকসিন লাগিয়ে দিতে হবে, খোচা দেওয়া জায়গা যদি ৪-৫ দিনের মধ্যে ফুলে উঠে তাহলে বুঝতে হবে ভ্যাকসিন টি কাজ করছে,আর যদি ফুলে না ওঠে বুঝতে হবে কাজ করেনি। পুনরায় আবার আগের নিয়মে ভ্যাকসিন দিতে হবে। এই ভ্যাকসিন প্রতি বছর ১ বার দিতে হবে।

ফাউল কলেরাঃ ফাউল কলেরা মুরগির ছোয়াচে রোগ। এটি একটি ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ। এই রোগে মৃত্যুর হার প্রায় ৫০-৭৫% পযন্ত হতে পারে। এতে খামার বেশ আথিক ক্ষতি সম্মুখীন হয়।

ফাউল কলেরা হওয়ার কারণঃ ফাউল কলেরা Pasteurella matocida নামক ব্যাক্টেরিয়া দ্বারা হয়ে থাকে ।

ফাউল কলেরা সম্পকে কিছু তথ্যঃ

ফাউল কলেরা রোগের লক্ষণঃ

চিকিৎসাঃ

ফাউল কলেরার প্রতিরোধঃ

সালমোনেলোসিসঃ সালমোনেলোসিস পোল্ট্রির ব্যাকটেরিয়াজনিত একটি প্রাণঘাতী রোগ।এটি পুলোরাম এবং ফাউল টাইফয়েড নামে পরিচিত। পুলোরাম রোগ বাচ্চা মুরগিতে এবং ফাউল টাইফয়েড পরিণত বয়সে দেখা দেয়। সালমোনেলোসিস পৃথিবীব্যাপী একটি সমস্যা এবং এটি পোল্ট্রিতে ব্যাপক অর্থনৈতিক ক্ষতি সাধন করে।

বাজারজাতকরণঃ টার্কি ১২ – ২০ সপ্তাহের মধ্যেই বাজারজাত করা যায়। বর্তমানে টার্কি খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে যার কারণে এখন বাজারজাতকরণ খুবই সহজ একটা বিষয় ।

সম্ভাবনাঃ বাংলাদেশে বাণিজ্যিকভাবে টার্কি মুরগি পালন দিনে দিনে জনপ্রিয়তা অর্জন করছে। টার্কি বাণিজ্যিক মাংস উৎপাদনের জন্য খুবই উপযুক্ত কিন্তু বাণিজ্যিকভাবে ডিম উৎপাদনের জন্য উপযুক্ত নয়। টার্কি মুরগি দ্রুত বড় হয়ে যায় এবং ব্রয়লার মুরগির মতো খাওয়ার উপযুক্ত হয়ে ওঠে। বাংলাদেশের আবহাওয়া অন্যান্য পরিস্থিতিতে টার্কি মুরগি পালনের জন্য খুবই উপযুক্ত। এগুলোর পালন মুরগির মতো খুব সহজ।

বাংলাদেশে বাণিজ্যিকভাবে টার্কি পালন-ব্যবসা করে ভালো মুনাফা অর্জনের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। একটুখানি সচেতনতা, সরকারি গবেষণা এবং ক্রেতা-বিক্রেতার পারস্পরিক অংশগ্রহণে এ টার্কিই হয়ে উঠতে পারে আত্মকর্মসংস্থানের মাধ্যম এমনকি ব্যপক উৎপাদনের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের উপায়।

How useful was this post?

Click on a star to rate it!

As you found this post useful...

Follow us on social media!

We are sorry that this post was not useful for you!

Let us improve this post!

Please don't forget to share this article