Agriculturelearning

টার্কি মুরগির বাচ্চা পালন পদ্ধতি, আদর্শ খাবার এবং নিয়ম

Please don't forget to share this article

দ্বিতীয় খণ্ড

টার্কি মুরগির বাচ্চা পালন পদ্ধতিঃ

টার্কি মুরগীর আদর্শ খাবার এবং নিয়মঃ  

সবুজ খাবারঃ সব সময় মোট খাবারের সঙ্গে ৫০% সবুজ ঘাস খেতে দিলে ভালো । সে ক্ষেত্রে নরম জাতীয় যে কোন ঘাস হতে হবে । যেমন – কলমি, হেলেঞ্চা ইত্যাদি । একটি পূর্ণ বয়স্ক টার্কির দিনে ১৪০ – ১৫০ গ্রাম খাবার দরকার হয় । যেখানে ৪৪০০ – ৪৫০০ ক্যালোরি নিশ্চিত করতে হবে।

খাবারঃ টার্কির খাবার সরবরাহের জন্য দুইটি পদ্ধতি ব্যাবহার করা যায় । যেমন ম্যাশ ফিডিং ও পিলেট ফিডিং । একটি আদর্শ খাদ্য তালিকা নিচে দেয়া হলো –

উপাদান হার
ধান ২০%
গম ২০%
ভুট্টা ২৫%
সয়াবিন মিল ১০%
ঘাসের বীজ ০৮%
সূর্যমুখী বীজ ১০%
ঝিনুক গুড়া ০৭%
মোট ১০০%

বিঃ দ্রঃ অন্যান্য পাখির তুলনায় টার্কির জন্য বেশি ভিটামিন, প্রোটিন, মিনারেলস দিতে হয়। কোন ভাবেই মাটিতে খাবার সরবরাহ করা যাবে না। সবসময় পরিষ্কার পানি দিতে হবে।

টার্কির খাবার দেওয়ার পদ্ধতিগুলিঃ

ডিম উৎপাদনঃ সাধারণত ৩০ সপ্তাহ বয়স থেকে টার্কি ডিম দেওয়া শুরু করে । প্রয়োজনীয় আলো বাতাস, পরিষ্কার পানি এবং খাবার সরবরাহ করা হলে বসরে ৮০ – ১০০ টি ডিম দিয়ে থাকে। ৬০ – ৭০ শতাংশ টার্কি মুরগি বিকেল বেলায় ডিম দেয় ।

টার্কির ডিমঃ লেয়ার টার্কির খামার স্থাপনের প্রধান উদ্দেশ্যই হলো লাভজনকভাবে ডিম উৎপাদন করা। এ জন্য দরকার একটি টার্কির উৎপাদন সক্ষমতার পরিপূর্ণ বিকাশ বা প্রদর্শনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা। নানাবিধ কারণে কোন একটি টার্কির ফ্লক থেকে যে পরিমান ডিম পাওয়ার কথা অনেক সময় তা পাওয়া যায় না। আপনার খামারে যদি ১০০ ডিম পাড়া টার্কি থাকে তাহলে ঐ টার্কি থেকে সর্বোচ্চ উৎপাদনকালীন সময়ে বা ২২ সপ্তাহ বা ২৫ সপ্তাহ বা ৫০ সপ্তাহ বয়সে যে পরিমাণ ডিম পাওয়ার কথা তা যদি না পাওয়া যায় তাহলে ধরে নিতে হবে কোথাও কোন সমস্যা রয়েছে।

যেসব কারণে কোন খামারে ডিম উৎপাদন কমে যায় বা বন্ধ হয়ে যেতে পারে তা হলো-টার্কির বয়স, জাত, পুষ্টি, পীড়ন, দিনের দৈর্ঘ্য ইত্যাদি। একটি টার্কি দিনে একটিই ডিম পাড়বে। ডিম উৎপাদন বৃদ্ধি বা বাড়ানোর কৌশল মানে একটি টার্কি থেকে দিনে একটির বেশি ডিম পাওয়া নয়। ডিম পাড়া শুরু করলে সপ্তাহে এক বা দু’দিন ডিম পাড়া বন্ধ থাকে। এ কারণে উৎপাদন কম হয়। যে বিষয়ের উপর গুরুত্ব দিতে হবে তা হলো টার্কি ও ডিমের অনুপাত কমিয়ে রাখা। অর্থাৎ যখন টার্কি থেকে কাঙ্ক্ষিত পরিমান ডিম পাওয়া যাবে না তখন যে বিষয়গুলো সম্পর্কে প্রথমেই অনুসন্ধান করতে হবে তা হলো-

আলোঃ আমরা জানি টার্কির যৌন পরিপক্কতায় আসা এবং ডিম উৎপাদনের উপর আলোর প্রভাব খুব গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত যখন দিনের দৈর্ঘ্য বেশি থাকে তখন টার্কি ডিম বেশি পাড়ে। ডিমপাড়া টার্কির জন্য দৈনিক ১৪ ঘণ্টার বেশি দিনের আলো দরকার। শীতকালে টার্কির ডিম উৎপাদন কমে যাওয়ার একটি অন্যতম কারণ হলো দিনের দৈর্ঘ্য কম হওয়া। তবে আধুনিক বাণিজ্যিক টার্কি খামারে কৃত্রিম আলো প্রদানের মাধ্যমে টার্কির ডিমপাড়ার জন্য আলোক ঘণ্টা তৈরি করা হয়। বাণিজ্যিক লেয়ার টার্কির খামারে একজন অভিজ্ঞ ও সচেতন খামারি টার্কির ঘরে কৃত্রিম আলোক ঘণ্টা তৈরি করে ডিম উৎপাদন স্বাভাবিক রাখতে পারবেন।

লক্ষণীয় যে, পরিপূর্ণ আলোক কর্মসূচি না থাকায় শীতের শুরু থেকে বিশেষ করে অক্টোবর-নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত ডিম পাড়া কমে যায় এবং এরপর থেকে আবার ডিম পাড়া শুরু করে। বাণিজ্যিক খামারে টার্কির ডিম উৎপাদনের হার কমে গেলে বা নির্দিষ্ট সময়ের আগে বা পরে ডিম পাড়া শুরু করলে টার্কি পালনকারি/খামারিকে এই সাধারণ বিষয়টি সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। কারণ যখন দিনের দৈর্ঘ্য বেশি থাকে তখন উৎপাদনে আসে। পুলেট যখন ডিমপাড়া শুরু করে তখন আস্তে আস্তে আলোক ঘণ্টা বাড়াতে হবে। সারাবছর ধরে ডিম উৎপাদন স্বাভাবিক রাখতে আলোক প্রদান কর্মসূচি প্রণয়ন করতে হবে।

পীড়নঃ পীড়নের কারণে টার্কির ডিমপাড়া কমে যায় এমন কি বন্ধ হয়ে যেতে পারে। যে সব কারণে টার্কিতে পীড়ন বা ধকল সৃষ্টি হয় তা হলো-

How useful was this post?

Click on a star to rate it!

As you found this post useful...

Follow us on social media!

We are sorry that this post was not useful for you!

Let us improve this post!

Please don't forget to share this article