About Us Contact Us Privacy Policy Terms & Conditions Copyright

চাপালিশ উদ্ভিদটি বিলুপ্তপ্রায় যা মৌলভীবাজারে দেখা মেলে

Please don't forget to share this article

চাপালিশ উদ্ভিদটি আগে অনেক জায়গায় দেখা মিললেও এখন তা বিলুপ্তপ্রায়। তবে গ্রীষ্মকালে মৌলভীবাজারের বিভিন্ন স্থানে চাপালিশ গাছের ফলটির দেখা মেলে। চাপালিশ গাছের ফল খাওয়া যায়।

ফলটির নাম ‘চাম কাঁঠাল’। দেখতে কাঁঠালের মতো হলেও আকারে অনেক ছোট। এর আকার অনেকটা ছোট বেলুনের মতো। এই কাঁঠালের কোষগুলোও ক্ষুদ্র। কিন্তু খুব সুস্বাদু। টক এবং মিষ্টি স্বাদের হয়ে থাকে ‘চাম কাঁঠাল’। পাহাড়ি এলাকা ছাড়া এই গাছ টিকে থাকে না। ফলে সহজে এই গাছের দেখা মেলে না। এই ফলটির অন্যান্য বাংলা নাম- চাম কাঁঠাল’ চাম্বল, চাম্বুল, চাম, কাঁঠালি চাম্বুল ইত্যাদি।

চাম কাঁঠালকে ইংরেজিতে Monkey Jack বলে যার বৈজ্ঞানিক নাম Artocarpus chaplasha।  এটি Moraceae পরিবারের উদ্ভিদ। নির্বিচারে গাছ কাটার ফলে প্রাকৃতিক অবস্থায় চাপালিশের বংশবৃদ্ধি সীমিত হয়ে গেছে।

চাপালিশ উঁচু পত্রঝরা গাছ, ৩০ মিটার পর্যন্ত উঁচু হতে পারে। ডাল ভাঙলে দুধের মতো ল্যাটেক্স বের হয়। গাছের কচি কাণ্ড রোম দিয়ে ঢাকা। বোঁটাযুক্ত, উপপত্র বড় এবং এটি কাণ্ডকে ঘিরে রাখে। চারা, চারার চেয়ে বড় গাছ এবং নতুন ডগার পাতা অনেক বড়। ফুল ও ফল আসে এপ্রিল থেকে আগস্টে। আবাসস্থল পত্রঝরা এবং চিরহরিৎ বন। ভারতের সিকিম, আসাম ও আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ, ভুটান, নেপাল, শ্রীলংকা, চীন, লাওস, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় এ গাছ জন্মে।

বাংলাদেশে মধুপুর, চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেটের বনভূমিতে পাওয়া যায়। লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে অনেক চাপালিশ গাছ রয়েছে। ঢাকার মিরপুরে অবস্থিত জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যানের ৩৫নং সেকশনে লাগানো চাপালিশের গাছ সংরক্ষিত অবস্থায় দেখা যায়। ময়মনসিংহের মধুপুরের রসুলপুরের বনে চাপালিশ গাছ আছে। এ ছাড়া ময়মনসিংহের মুমিনুন্নিসা সরকারি মহিলা কলেজের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সামনে কয়েকটি চাপালিশ গাছ রয়েছে।

চাপালিশ ফলের বীজ আগুনে পুড়িয়ে খাওয়া যায়। স্বাদে আনেকটা চীনা বাদামের মতো। ফল হাতির খুবই প্রিয় খাবার। এই গাছের কাঠ বাদামি, শক্ত, মজবুত, টেকসই ও মসৃণ। দরজা-জানালা, আসবাবপত্র এবং রেল পথের স্লিপার তৈরির জন্য বেশি ব্যবহৃত হয়।

বন এলাকায় প্রাকৃতিকভাবে চাপালিশের বীজ থেকে চারা ও গাছ জন্মায়। জুন-জুলাই মাসে সংগৃহীত পরিপক্ব ফল ৫ থেকে ৬ দিন রেখে দিলে পচে যায়। এ অবস্থায় পানিতে ধুয়ে বীজ বের করে পলিব্যাগে বপন করে বীজ তৈরি করা যায়। মৌলভীবাজারে প্রতিটি চাম কাঁঠাল ২০-৩০ টাকায় বিক্রি হয়ে থাকে।

How useful was this post?

Click on a star to rate it!

As you found this post useful...

Follow us on social media!

We are sorry that this post was not useful for you!

Let us improve this post!

Please don't forget to share this article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি। সকল স্বত্ব www.agriculturelearning.com কর্তৃক সংরক্ষিত